মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ‘ধর্ষণের পর হত্যার’ অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আসামি সাফায়েত জামিলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখার এএসআই ফারুক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফারুক হোসেন জানান, একদিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাজেদুল হক আসামিকে আদালতে হাজির করেন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তিনি। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিন শুনানির জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি সাফায়েত জামিলের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে হলফনামা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন সাফায়েত জামিল। এরপর বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় মর্তুজা রায়হান নামে এক তরুণ ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আরাফাতের বাসায় যান। এরপর আরাফাত,ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। ওই রেস্টুরেন্টে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদ পান করান।
মদ পানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিলেন।
ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন করেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। দু’দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ৩১ জানুয়ারি তরুণী মারা যান।
এসএস